রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রতারক আব্দুল বাতেনের কবল থেকে নিঃস্ব ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে রক্ষায় প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন থানচিতে এলজিইডির সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে ক্ষোভ সাইকেল চালিয়ে ২৫০০ ফুট উঁচু ডিম পাহাড় জয় দুই তরুণের সরকার পতনের পর চট্টগ্রামে মাদকের রাজত্ব! চট্টগ্রামে ‘মব জাস্টিস’ বিতর্ক: সুপারশপে লুটপাট, কর্মচারীদের মারধর, প্রশ্নের মুখে আইনি শাসন চট্টগ্রাম মেডিকেল ঘিরে ফের সক্রিয় এম্বুলেন্স সিন্ডিকেট 🛑 চাক্তাইয়ের ছায়ামানব: ইসলামি ছদ্মবেশে গড়ে উঠেছে কালো টাকার সাম্রাজ্য চট্টগ্রামে ভুতুড়ে ফ্ল্যাটে অবৈধ অপারেশন থিয়েটার সুদ-জুয়ার টাকায় রাজনৈতিক পালাবদলের নাটক মঞ্চস্থ করছেন চট্টগ্রামের মিন্টু আহমেদ কালোজিরা: প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যরক্ষায় এক নির্ভরযোগ্য বীজ
নোটিশ
চট্টলা মর্নিং নিউজে আপনাকে স্বাগতম, আমাদের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

মুক্ত দিবসে মুক্তিযুদ্ধাদের মিলন মেলা নোয়াখালীতে

চট্টলা মর্নিং:
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২২৭ জন পড়েছেন
চট্টলা মর্নিং:
১৯৭১ সালের এই দিনে বীর  মুক্তিসেনারা নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর  পিটিআইতে রাজাকারদের সর্বশেষ ও প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে নোয়াখালীর মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উড়িয়েছিলেন।
নভেম্বর মাস থেকে মুক্তিসেনারা নোয়াখালী জেলাতে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুক্তিসেনাদের প্রবল আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে ৬ ডিসেম্বর গভীর রাত থেকে বিভিন্ন ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যেতে থাকে পাকিস্তানি আর্মি ও মিলিশিয়ারা। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালী জেলাকে চুড়ান্ত ভাবে মুক্ত করে তুলে।
৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবসে উপলক্ষে নোয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড নোয়াখালী জেলা কমিটির আয়োজনে প্রতিবছরের মতো  এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পিটিআই-সংলগ্ন মুক্তমঞ্চের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পরে বিজয় শোভাযাত্রা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সন্ধ্যায় বিজয় মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিশেষ বুলেটিন মুক্তিযুদ্ধা বার্তা প্রধান উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মো.  শাহজাহান- বিশেষ বুলেটিন মুক্তিযুদ্ধা বার্তার সম্পাদক সাংবাদিক রাসেদ বিল্লাহ চিশতীকে বলেন, ৭ ডিসেম্বর বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুলের রাজাকার ক্যাম্প, মাইজদী কোর্ট স্টেশন, জিলা স্কুল, দত্তের হাটের নাহার মঞ্জিল রাজাকার ক্যাম্পে আমাদের মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের চাপে একে একে আত্মসমর্পণ শুরু করে। এরপর পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটি প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ (পিটিআই) শহরে আক্রমণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এই আক্রমণে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের (বিএলএফ) বৃহত্তর নোয়াখালীর অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণপণ যুদ্ধ করেন। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সন্ধ্যার আগেই নোয়াখালীকে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করা সম্ভব হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নোয়াখালীকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। বহু  বাধা অতিক্রম করে পাকিস্তানি সেনারা ২৩ এপ্রিল নোয়াখালী দখলে নেয়। চালাতে থাকে জেলা সদরের সোনাপুর-শ্রীপুর, রামহরিতালুক, বেগমগঞ্জের কুরিপাড়া, গোপালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। এ সময় হানাদাররা গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে।
কোম্পানীগঞ্জের বামনী, তালমাহমুদের হাট, ১২ নম্বর স্লুইসগেট, সদরের ওদারহাট, করমবক্স বাজার, বেগমগঞ্জের ফেনাকাটা পুল, রাজগঞ্জ, বগাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন অনেক মুক্তিযোদ্ধা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
চট্টলা মর্নিং এর সকল স্বত্ব © ২০২৩-২০২৪ সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায় ইনো. আইটি বাজার