চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখল করে পুকুর ভরাট, নিজের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মাঠ তৈরী, দোকান নির্মাণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ দস্যুতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ওয়ারিশগণ। ২৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুলতান আহমেদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গায়ের জোরে মোস্তাফিজ এর নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও ব্যক্তি মালিকদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু’র নামে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ অনতিবিলম্ব পুকুর ভরাট বন্ধ করে দখলদারদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগীদের পক্ষে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী ।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিরুধী নয়, আমরাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চায়। কিন্তু এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি স্বার্থান্বেষীর জন্য করতে দেয়া হবে না। এ প্রতিষ্ঠানের জায়গা অধিগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর নামে উচ্চ বিদ্যালয়টি করা হোক। জলাশয় বা পুকুর সবার ব্যবহারযোগ্য এটি ভরাট করে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোস্তাফিজের পরিবেশ সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই নয়।
সাবেক এম.পি এ মোস্তাফিজ সে বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা মৌজার বি.এস. ১৪৫৪ দাগের অভ্যন্তরীণ ৩ জনের কাছ থেকে ওয়ারিশান ও ক্রয়সূত্রে মোট ৩৮ শতক জমির মালিক হয়। এ দাগে মোট ৮৮ শতক জায়গার মোট মালিক হচ্ছে ২৪ জন। এ দাগে পুকুরও রয়েছে। সে জোরপূর্বক তার ৩৮ শতক জায়গাসহ বাকী ২১ জনের ৫০ শতক জায়গা তার অনুসারী স্থানীয় সন্ত্রাস মেম্বার রশিদ ও পেটোয়া বাহিনী দিয়ে দখল করে পুকুর ভরাটসহ নিজের নামে স্কুল নির্মাণ, মাঠ তৈরী করে যাচ্ছে।
এর বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে মারধর করে ৬ মাস জেল খাটায়। আমি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। গত দু’বছর যাবত সে আমার চাচাতো ভাইসহ ভুক্তভোগীদের হুমকিধামকি, মারধর, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
শুধু তা নয়, সে উক্ত এলাকায় উকিল আজিজের বাজারে মিনি স্টেডিয়াম বা টার্ফ নির্মাণের নাম দিয়ে বি.এস.৬৮৬ দাগের ২.৬ শতক আমাদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে দোকান লাগিয়ে ভাড়া ভোগ করছে। সে আমাদের জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। তার বিরুদ্ধে থানা, কোর্টকাছারি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,ভূমি মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে,জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,পরিবেশে অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দরখাস্ত প্রেরণ করেছি।
তিনি আরো জানান, সাবেক সাংসদ এ মোস্তাফিজ একজন মাটি খেকো, ভূমিদস্যু ও খারাপ প্রকৃতির লোক দীর্ঘ ১০ বছর বাঁশখালিবাসীকে জিম্মি করে দেশ-বিদেশে অর্থ পাচারসহ তার আত্মীয় স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগসহ দাম্ভিকতা নিয়ে গণমাধ্যমে ঢালাওভাবে সংবাদ প্রচার হয়েছে এটা সকলে অবগত আছে।
এ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, হেলাল উদ্দিন ,বেলাল উদ্দিন, কলিন ফাতেমা চৌধুরী, নাসরিন সুলতানা, মফিজুর রহমান, মুহিব উল্লাহ, মোছলেম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, রমিজ উদ্দিন প্রমূখ।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ