চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র—কিরিচ, হকিস্টিক, দা ও পিস্তল নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া চালায়। এ সময় স্থানীয়দের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করলেও আতঙ্কে কেউ মুখ খোলেনি।
শনিবার বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখার উদ্দিনের নেতৃত্বে চাক্তাই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোবারক হোসেন ও এসআই ফরহাদ অভিযান চালিয়ে ফাঁকা ফায়ারকারী ইকবাল ও যুবদল নামধারী ফোরকানকে গ্রেপ্তার করেন। তবে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডের বৃহত্তর চাকতাই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে ফোরকান, ইকবাল, যুব নেতা আমিনুল ইসলাম সাজু, কিশোর গ্যাং লিডার সাইমন ও সোহেল বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জায়গা ও ব্যবসায়ীদের জমি দখল, চাঁদাবাজি এবং রাতের অন্ধকারে দোকান দখলের অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, শুক্রবার রাতের হামলায় অংশ নেওয়া অস্ত্রধারীরা পথচারীদের মারধর ও কয়েকটি দোকান দখল করে। তারা ধারণা করছেন, ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট করা হতে পারে।
অভিযোগ রয়েছে, ফোরকান নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে এবং তার বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় ডাকাতির মামলাও আছে। সোহেল আগে পটিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের আশ্রয় দিচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
দ্রুত সময়ে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করায় এলাকাবাসী সিএমপি পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের পর থেকেই স্থানীয় বিএনপি-সুবিধাভোগীরা অভিযুক্তদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য থানায় তদবির ও আর্থিক লেনদেনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চাক্তাই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোবারক হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি, মামলার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত আছেন।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ