বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নদভীর ছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন আহামদ হোছাইন—কারাগারে যেতেই মুখ খুলছেন নির্যাতিতরা! বাংলাদেশে ২৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে হ্যান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ টি-টোয়েন্টিতে পেশির জোর দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ওয়েন ইসরায়েল শর্ত পূরণ না করলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও বর্বরতা থেকে রক্ষার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বিমানবন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ক্রিম ও সিগারেট জব্দ জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম ছিল বিপ্লবের দুর্গ একাদশে ভর্তি, চট্টগ্রামে সরকারি কলেজে নজর সবার ম্যানচেস্টারে GMCA’র জমকালো মেজবানি উৎসব সম্পন্ন জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন
নোটিশ
চট্টলা মর্নিং নিউজে আপনাকে স্বাগতম, আমাদের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

বাকলিয়ায় রহস্যময় ডাকাতি: চুরি করে ফ্রিজ, রান্না করে খেল মাছ-মাংস!

সংবাদ দাতা
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৩১ জন পড়েছেন

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় কর্ণফুলী আইডিয়াল স্কুলসংলগ্ন নোমান কলেজ রোডের ইসলাম সওদাগরের কলোনিতে ঘটেছে এক বিস্ময়কর ডাকাতির ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এক বাসায় হানা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা-পয়সা এবং একটি ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।

ডাকাতির ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে বারবার যোগাযোগ করলেও, তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ঘটনাস্থলে যাননি। পরে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার উদ্দিনকে ফোন করা হলে, তার নির্দেশে থানার এক অফিসার কিশোর ঘটনাস্থলে যান। এ সময় প্রতিবেদনকারীর সঙ্গেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।

তদন্তকালে মসজিদ গলির রুপা নামে এক মহিলার ভাড়াঘর থেকে চুরি হওয়া ফ্রিজটিকে শনাক্ত করা হয়। আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে তখন থেকেই কানাঘুষা শুরু হয়—কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা অনেকেই জানেন, কিন্তু নাম বলার সাহস কেউ দেখাচ্ছেন না।

এখানেই ঘটনার সবচেয়ে অদ্ভুত দিকটি সামনে আসে। অভিযোগ রয়েছে—চোরেরা ফ্রিজে থাকা মাছ ও মাংস চুরি করে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি; বরং তা সকালেই রান্না করে খেয়েছে!

স্থানীয় সূত্র বলছে, সন্দেহভাজনদের সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। ফলে বিষয়টি ঘিরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি, কিংবা পুলিশি উদ্যোগেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি।

এলাকাবাসীর অনেকেই বলছেন, বারবার এমন ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিক্রিয়া ধীর। যার ফলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

প্রশ্ন উঠেছে,পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ কী?যদি সন্দেহভাজনদের পরিচয় এলাকার লোকজন জানেন, তাহলে তারা নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন কেন?ফ্রিজ খুঁজে পাওয়ার পরও এখনো মামলা হয়নি কেন?

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার কর্মকর্তাদের বক্তব্য জানার চেষ্টা চলছে। অপরদিকে এলাকাবাসী এখন চায় দ্রুত বিচার ও চিহ্নিত চোরদের গ্রেপ্তার।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
চট্টলা মর্নিং এর সকল স্বত্ব © ২০২৩-২০২৫ সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায় ইনো. আইটি বাজার