বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মাঠে পর্যায়ে আগের মতো সক্রিয় নেই পুলিশ। এ সুযোগে নগরের নতুন ব্রিজ রাজাখালী এলাকায় স্থিতিবস্থা জারি ও ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে ভূমি দখলের চেষ্টা ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ নজরুল ইসলাম ও ফখরুল গং এর বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া মৌজার রাজাখালিতে রাতের আধারে তান্ডব চালিয়ে প্রায় চার গন্ডা মত জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে একদল দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। গত ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে আলম নামে এক ভুক্তভোগী ক্রয়কৃত জমির সীমানা প্রচীর ভাংচুর ও সাইনবোর্ড ভেঙ্গে দখলে নিয়ে নেয়। তান্ডব -কান্ডে প্রায় দুই-আড়াইশের একটি দূর্বৃত্তের দল অংশ নেয়। এ নিয়ে কামাল
নামে এক ভাড়াটিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে কিল-ঘুষি ও মারধর করে। ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার ও আশপাশের বাসাবাড়ির মালামাল লুটসহ নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়৷ ভাড়াটিয়া কালামকে তারা নগর বিএনপির আহবায়ক এর লোকবল বলে পরিচয় দেয় নজরুল ইসলাম ও ফখরুলের অনুসারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জায়, বাকলিয়া মোজার রাজাখালিতে ৩ গন্ডা নাল জমির আলম ক্রয়সূত্রে মালিক হন। এর পর থেকে স্থানীয় নজরুল ও ফখরুল গং এ জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছে৷ আদালতে আলমের কাছে হেরে গিয়েও তারা ক্ষান্ত হননি। আদালতের স্থিতিবস্থা জারি থাকা সত্ত্বেও গেল ২০২৩ সালে এ জমিতে ভাংচুর ও তান্ডব চালিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ও ২০ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে নজরুল ও ফখরুল গং এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা (৫৭৪/২৩) ও চাদাবাজির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ঢালাওভাবে সংবাদও প্রচারিত হয়৷
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, পূর্বের ন্যায় নজরুল এর নেতৃত্বে সরকার পতন ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে দুর্বৃত্তের দলবল নিয়ে রাতের আধারে ভাড়াটিয়া কামালকে মারধর করে আলমের জায়গা দখল নিয় নেয়। এমন দুর্বৃত্তের তান্ডব আমরা আওয়ামী দুশো শাসনের আমলেও দেখিনি।
ভুক্তভোগী কামাল জানান, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ হৈ-হুল্লোড় শব্দে ভোর ৪ টার দিকে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি দুই থেকে আড়াইশ ছেলেপেলে এখানে ভাংচুর ও তান্ডব চালাচ্ছে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে লাথি,কিল-ঘুষি ও মারধর করে। আমার বাসা সহ তিনটি বাসার মালামাল লুট ও নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তারা বলে এটা নজরুল ও ফখরুল এর জায়গা আমাদেরকে নগরর বিএনপি আহবায়ক পাঠিয়েছে বলে দিচ তোর মালিককে।এইভাবে আমাকে দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র নিয়ে ভয় দেখায় তারা।
এ বিষয়ে নজরুল এর কাছে ফোনে জানতে চাওয়া হলে, একাধিক বার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি।
বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব করার অভিযোগে মহানগর বিএনপির আহবায়ককে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও সাড়া মিলেনি।
এইদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি মহল ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাতের অপচেষ্টা করছে। গত ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার বিএনপির বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে কথা বলে পুরো দলকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। অথচ আমরা বারবার বলে আসছি দখলদারদের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপকর্মে জড়িতদের পুলিশে ধরিয়ে দিতে হবে। তাদের ব্যাপারে দলীয় কোনো সুপারিশ থাকবে না। এসব দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে হবে।
Leave a Reply