চট্টগ্রামের Rayons education এর বিদেশ পাঠানোর নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে সাধারণের লাখ লাখ টাকা। অভিনব পদ্ধতিতে নাম পাল্টিয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মোড়কে চাকচিক্যে মোড়ানো বিভিন্ন প্যাকেজে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী বা সাধারণদের।
Rayons এডুকেশন এর স্বত্বাধিকারী বা ডিরেক্টরদের একজন আমির মোঃ মঈন উদ্দিন’ যার ডাকনাম অয়ন। অয়ন ও তার বাবা মোঃ আলমগীর মিলে বিদেশি বিভিন্ন জনের ঢাকা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিমাণে নিয়ে আটকে রেখেছে প্রায় আট মাস 10 মাস কিংবা এক বছরেরও বেশি সময়। বিদেশ যাওয়া তো দূরে থাক ভুক্তভোগীরা এখন চিন্তায় রয়েছেন তাদের টাকা ফেরত পাবেন কিনা!
অয়ন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা, সরকার পতনের পর থেকে অবস্থান করছেন দুবাইয়ে, তার উঠাবসা ছিল নিজ এলাকার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিতর্কিত নেতাদের সাথে। তার বাবা মোহাম্মদ আলমগীরের রয়েছে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ।
আমাদের অনুসন্ধানে জানা যায় অয়ন বিভিন্ন সময় নাম পাল্টিয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ পাথরের কাম করে বিভিন্ন লোকজন থেকে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। এক এজেন্সিতে চাপ বেড়ে গেলে তারা নতুন ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলে যান অন্য এজেন্সির ছত্রছায়ায়। ঠিক একই ভাবে এখন তারা রায়উন সেরেনাম পাল্টে চালাচ্ছেন গ্লোবাল প্যাসিফিক নামে একটি স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি ফার্ম।
ভুক্তভোগীদের একজন চট্টগ্রামের হালিশহরের ইমরান, তিনি জানান ‘২০২৪ সাল থেকে আমি বেশ কয়েকটি ইনস্টলমেন্টে তাকে প্রায় ৭ লাখ টাকা দিয়েছি, এর মধ্যে আমেরিকার ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য সে আমাকে এবং আমার ওয়াইফ কে দুবাই নিয়ে প্রায় আরো সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ করিয়েছে। একপর্যায়ে আমি যখন বুঝতে পারি তার দ্বারা আমাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় আমি তার কাছে আমার টাকাটা ফেরত চাই, প্রথমে সে আমাকে দুবাই থেকে টাকা পাঠিয়েছে বলে একটু ভুয়া স্ক্রিনশট দিয়ে প্রায় একমাস যাবত ঘুরায়, এরপর আরো চার মাস কেটে গেলেও একটি টাকাও সে আমাকে দেয়নি উল্টো তার বাবা আমাকে মামলার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে’।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু ইমরান ই নয় চট্টগ্রামের প্রায় ৮ থেকে ১০ জন এখনো তাদের কাছে পাবে প্রায় ৩০ লাখ টাকার কাছাকাছি। অথচ পাওনাদারের টাকা না দিয়ে অয়ন এর বাবা ঘুরছেন বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে, গড়ছেন সম্পত্তি। ভুক্তভোগীদের দাবি এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে জনগণের টাকা চলে যাবে এসব চক্রের পকেটে, সৃষ্টি হবে সামাজিক অস্থিরতা ও কমতে থাকবে এজেন্সির উপর মানুষের নির্ভরশীলতা।
Leave a Reply