আবুল হাসনাত মিনহাজ
চাহিদার বিপরীতে দ্বিগুণ আমদানির পরও কোরবানির ঈদের আগেই অস্থির হয়ে ওঠেছে দেশের গরম মসলার বাজার। লবঙ্গ, এলাচ, জিরা, গোলমরিচ এবং রসুনের মতো মসলার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্বিগুণ দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের পাশাপাশি দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিনই ট্রাকে করে আসছে আমদানি করা মসলা।
চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ৩২ হাজার ১৭০ টন লবঙ্গ, ২৯ হাজার ৬৪৬ টন গোলমরিচ, ৪১ হাজার ৩৪৬ টন জিরা, ২৪ হাজার ২৬৭ টন এলাচ আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
খাতুনগঞ্জে ভুটানের বড় দানার এলাচ চার হাজার টাকা, গুয়াতেমালার মাঝারি দানার এলাচ ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার ছোট দানার এলাচ প্রতি কেজি ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, জয়ত্রি ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার, জিরা ৭৫০ থেকে ৮০০, গোলমরিচ ৭৮০ থেকে ৮৫০ টাকা, জায়ফল ৭০০ থেকে ৭৬০ টাকা এবং কিশমিশ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বেশিরভাগ মসলার দাম এবার ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচের দাম। এছাড়া বেড়েই চলেছে দারচিনি, আদা, রসুন, হলুদসহ প্রায় সব মসলার দাম।
বাজারে প্রতি কেজি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। মানভেদে এক কেজি আদার দাম পড়ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। মানভেদে এক কেজি শুকনো মরিচের দাম পড়ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার কারণ হিসেবে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি, এলসি খুলতে অনীহাকে দায়ী করছেন।
চট্টগ্রাম মসলা আমদানিকারক সমিতির ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অধিকাংশ মসলা আনা হয়। সেখানে দাম কমলে আমাদের এখানে কমে। যদি ভারতে দাম বেড়ে যায়, তাহলে খাতুনগঞ্জেও দাম বেড়ে যায়।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ