দুদকের মামলার আসামি হয়েও ফের চট্টগ্রামে পদায়ন
দেড় বছরের মাথায় গৃহায়ন কর্মকর্তার বিতর্কিত প্রত্যাবর্তন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি হয়েও ফের চট্টগ্রামে পদায়ন পেলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম হাউজিং এস্টেটে এক ব্যক্তিকে সাড়ে চার কাঠা বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কিস্তি পরিশোধ না করায় বরাদ্দটি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তা জাল কাগজপত্র তৈরি করে কিস্তি পরিশোধ দেখান। ২০১৮ সালে নাছির উদ্দিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে প্লটটি পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তদন্তে দুদক প্রমাণ পায়, আসল কাগজপত্রে টাকা পরিশোধের কোনো তথ্য নেই। চালানগুলো ভুয়া এবং প্রকৃত মূল্যের প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নাছির উদ্দিনসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ভুক্তভোগী একজন বলেন, “আমার নামে বরাদ্দ হওয়া প্লট সময়মতো টাকা না দেওয়ার কারণে বাতিল হয়েছিল। পরে কিছু কর্মকর্তা জাল কাগজ বানিয়ে সেটি আবার অন্যের কাছে হস্তান্তর করে। এতে আমি আইনি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”
স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, “এটা সরাসরি সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা। যারা মামলার আসামি, তাদের আবার দায়িত্ব দেওয়া মানে দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া। এতে সাধারণ মানুষের আস্থা ভেঙে যাচ্ছে।”
দুদক আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রতারণা ও জাল কাগজ তৈরির অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আবার সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী তদন্তাধীন কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা যাবে না।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়রা বলছেন, দুদকের মামলার আসামিকে ফের পদায়ন সরকারের দুর্নীতি বিরোধী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে চলমান তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ