দীর্ঘ ১৮ বছরেও সংস্কার হয়নি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ডোংরা দিঘীর পাড়া গ্রামের প্রাধান সড়কটি।১৮ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়ক জুড়ে কাদামাটি।শুকনো মৌসুম কিংবা বর্ষা সড়কজুড়ে ১ কিলোমিটার সড়কের অংশে সারা বছরই থাকে কাদা। কাচা এই সড়কটিতে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই আরও ভয়াবহ অবস্থা। এতে করে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বর্ষায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া আসার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।সড়কে একবার পিচলে পড়লে সবকিছুই জলেকাদায় একাকার হয়ে যায়।৪নং ওয়ার্ডের ডোংরা দিঘীর পাড়া গ্রামের প্রায় দুই হাজারের অধিক মানুষ যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে থাকেন।সড়কটিতে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সরু হয়ে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মোশারফ আলী মিয়ার বাজার টু খানখানাবদ সমুদ্র সৈকত সড়কে জ্যাম অথবা বন্ধ থাকলে চলাচলের একমাত্র বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই সড়ক কে।
দীর্ঘ ১৮ বছরের বেশি সময় গড়িয়ে গেলেও কাদামাটির সড়কটিতে বসেনি কোনো পোড়া ইট,বর্ষায় জলে কাদায় একাকার হয়ে পড়ে।দিঘীর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,উপকূলীয় ডিগ্রি কলেজ পশ্চিম বাঁশখালী স্কুল এন্ড কলেজ,পশ্চিম বাঁশখালী দারুল ইসলাহ দাখিল মাদ্রাসা, আদর্শ শিশু নিকেতন ও পশ্চিম বাঁশখালী আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র জন গুরুত্বপূর্ণ চলাচলের পদ, গ্রামের মানুষের চলাচলের সড়কটি এখনো মান্ধাতার আমলের মতোই কাঁচামাটির,প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বের সড়কটি এখন দুঃখ দুর্দশার কারণ বলা চলে (মরার উপর খাড়ার ঘা)।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে কাদামাটির এ অভ্যন্তরীণ সড়কটিই যেন এ এলাকার গলার কাটা, বর্ষায় জলেকাদায় নাকাল অবস্থা।প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা খুব কষ্ট করে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন,বর্ষা মৌসুমে ব্যবসায়ী, বুদ্ধ, শিশু, নারীসহ সাধারণ পথচারীদের চরম কষ্ট করতে হচ্ছে।এমনকি বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে এবং কাদা-পানিতে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে তাদের বিদ্যালয়ে না গিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে।আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান সিআইপি এমপির নিকট সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ডোংরা দিঘীর পাড়া গ্রামের প্রাধান সড়কের চিত্র।
এসময় স্থানীয় লোকজন জানান, নির্মানের কথা অনেকবার বলেছে জনপ্রতিনিধিরা,কিন্ত সড়কটি সংস্কার তো দুরের কথা দেখতেও আসেনি।
মুজিবুর রহমান সিআইপি এমপি সড়কটির ফাইল তালাশ করে টেন্ডারে পাঠালে গত (৭ জুলাই)অতিদ্রুত সমেয়র মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এবিষয়ে একাধিক বার ফোন করলেও সাড়া মিলেনি ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন চেযারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ