।তারুণ্যের উচ্ছ্বাসই মানবজীবনকে সফলতা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণাদান করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ সদস্য চিত্র নায়ক ফেরদৌস আহমদ এম পি।
এর পূর্বে তারুণ্যের উৎসব উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন চিত্রনাট্যকার কাওসার চৌধুরী । তিনি বলেন, যেখানে তারুণ্যের উচ্ছাস তথা মানসিক শক্তি গতিহীন সেখানে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথ বন্ধ। পৃথিবীর চারদিকে আজ তারুণ্যের জয় জয় রব ধ্বনিত হচ্ছে। যারা তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ভরপুর হতে পারেননি, তারা পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।বইমেলার প্রাণ হচ্ছে তরুণ-তরুণীরা।বই আত্মাকে পরিপুষ্ট করে, জ্ঞানকে করে সমৃদ্ধ। বই হচ্ছে মানুষের সত্যিকার বন্ধু। যা মানুষের বুকের ভিতর সযত্নে লালন করা স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে পারে।
নায়ক ফেরদৌস আহমদ এম পি বলেন,একটি জাতিগোষ্ঠীর সভ্যতা বিনির্মাণ ও জ্ঞানগত উন্নয়নে বইমেলা ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সাহিত্য, গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গবেষণা জার্নালসহ বিষয়ভিত্তিক বইয়ের বিপুল সমাহার পাঠকদের সামনে তুলে ধরে জ্ঞানের বিস্তৃত জগৎকে। বাঙালির যা কিছু অর্জন, যা কিছু ভালো সবই তরুণদের কারণে হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ, তরুণদের বাংলাদেশ। তরুণরা আমাদের বর্তমান, তারাই আমাদের ভবিষ্যত। তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে আসার জন্য তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান।
এর পূর্বে তারুণ্যের উৎসব উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন চিত্রনাট্যকার কাওসার চৌধুরী । তিনি বলেন, ভাষা একটি জাতির পরিচয়ের অনেক বড় একটি বাহন। ভাষাগত পরিচিতি একটি জাতিকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় ভূষিত করে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দিবসে উপহার হিসেবে আমরা ফুল কিংবা অন্য কোনো সামগ্রী দিই। বাংলার প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রিয় জনকে বই উপহার দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তাহলে একুশের প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে। আজ শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায়
অমর একুশে বই মেলা মঞ্চে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ,কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজেমী। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর অধ্যাপক মোঃ ইসমাইল, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল। সভাপতির বক্তব্যে শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একুশের চেতনা হারিয়ে ফেলা যাবে না। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভা শেষে দৃষ্টির পরিবেশনায়ত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ