চট্টগ্রামের বাকলিয়ার শাহ আমানত সেতু এলাকায় কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নুর বশর এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।২০২৪ সালের (১৮ জুলাই) সকালে নতুন ব্রিজ চত্বরে সংঘটিত ওই হামলায় বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হন এবং কয়েকজনের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এসময়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে কিছু সময় পর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজমীর সালাউদ্দিন, জানে আলম, নুর বশর ও জাহাঙ্গীর দেশীয় অস্ত্রসহ প্রায় ৩০-৪০ জন কিশোর গ্যাং সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়।
নুর বশর নেতৃত্বাধীন গ্যাং সদস্যরা ইট-পাটকেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং হামলার এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়।
নুর বশরের রাজনৈতিক রূপ বদলের কৌশল
স্থানীয়দের অভিযোগ, একসময় ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা নুর বশর এখন নিজেকে বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন এবং স্থানীয় এক বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলরের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং পরিচালনার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ এখনও নীরব
হামলার ঘটনার পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হলেও মূল হামলাকারী নুর বশরকে ধরতে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এতে প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে।
আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আলী বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে হামলা চালায়। নুর বশর নামে একজন নেতৃত্ব দিয়েছে—সে এলাকায় কুখ্যাত চাঁদাবাজ। আমরা এর বিচার চাই।”
তদন্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারূ নুর বশর ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ