<strong>
(মহিউদ্দিন’কে চাঁদা না দিলে মারধর ও নির্যাতনের শিকার শ্রমিকেরা)
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরও দেশে এখনো বন্ধ হয়নি পরিবহন বানিজ্য।হাতবদল হয়ে পরিবহন বানিজ্য চলছে এখনো।বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলেছে পরিবহন নিয়ে চাঁদাবাজি।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নতুন ব্রীজ -নিউমার্কেট-অলংকারের সড়ক।যেই সড়ক দিয়ে দিনে চলাচল করে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।আর যাতায়াতের জন্য এই সকল মানুষ বেছে নেয় টেম্পো কিংবা ত্রী হুইলারের মত ছোট ছোট যানবাহনগুলোকে।আর একেই ঘিরে জমে উঠেছে চাঁদাবাজির বানিজ্য।
নতুন ব্রীজ চত্বর হতে অলংকার পর্যন্ত চট্টলা পরিবহন এর ব্যনারে চলাচল করে চার চাকার টেম্পো। বিআরটিএর তথ্য মতে,এই রুটে গাড়ি চলাচল করে প্রায় ৫৪ টি।আর যেখান থেকে চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতির ভাই পরিচয়ে চাঁদা চেয়ে বসেন মহিউদ্দিন নামে কথিত এক চাঁদাবাজ।দৈনিক প্রতি গাড়ি থেকে চাঁদ না দিলে মারধর করেন চালকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কথিত চাঁদাবাজ মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মনির খানের ভাই পরিচয়দানকারী মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি দৈনিক স্থানীয় থানা ও ফাঁড়ির নাম ভাঙিয়ে এই টাকা উত্তোলন করেন।আর তাকে সহযোগিতা করেন নামসর্বস্ব সংগঠনের নেতা মনির খান।
সরেজমিনে নতুন ব্রীজ এলাকায় মহিউদ্দিনের চাঁদাবাজির অতিষ্ঠ হয়ে সড়কে নেমে আসেন চালকরা।বিকেলে নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান,প্রতিদিন চাঁদা না দেওয়ায় মহিউদ্দিন লাইনে টুয়িন টাওয়ারে তার লালিত কিশোর গ্যাং দিয়ে চালকদের মারধর করেন। তাছাড়া কেউ কথা বল্লে তার বিরুদ্ধে টু-ইন টাওয়ারে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন।
ভুক্তভোগী শ্রমিক টিটু আদনান সাংবাদিকদের বলেন’মহিউদ্দিন লাইনে এসে গাড়ির ডকুমেন্ট পত্র যাচাই করবে বলে।তখন আমি আমার ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে বলে আজকে থেকে ২০০ টাকা করে সুমন ও রুবেলকে দিবি তানাহলে ডকুমেন্ট দিবো।আমি ডকুমেন্ট চাইলে তার লালিত কিশোর গ্যাং সহ আমাকে মারধর করেন।আমরা বিষয়টি স্থানীয় থানায় অবগত করেছি।কোন প্রকার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজকে আন্দোলন করছি শ্রমিকেরা।
এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন করলে তিনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুশিয়ারী দিয়ে বলেন এধরণের প্রমান মিললে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply