চট্টলা মর্নিং:
দিদার আশরাফী-এহতেসাম তিন বছরের জন্য চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার (চসাস) নেতৃত্বে এসেছেন সৈয়দ দিদার আশরাফী এবং ওসমান এহতেসাম। সাংবাদিকদের ভোটে দিদার আশরাফী চসাসের সভাপতি এবং ওসমান এহতেসাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণের পর পরের দিন রবিবার চট্টগ্রাম একাডেমি হল রুমে ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সজল চৌধুরী। এতে ৪ ডিসেম্বর গঠিত নির্বাচন কমিশনের অন্যতম দুই কমিশনার প্রণবরাজ বড়ুয়া ও খোরশেদ আলম মাইজভান্ডারী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি ও ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এর ব্যুরো প্রধান কবি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বেলাল হোসেন, মোহনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান আলী আহমেদ শাহীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বন গোপাল দাশ। নির্বাচনে ২১টি পদে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৮০ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৫ জন। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দিদার আশরাফী (আপেল) পেয়েছেন ৬৪ ভোট। তার বিপক্ষে বিরোধিতা করে না ভোট দিয়েছেন ১১ জন। দিদার আশরাফী উক্ত সংগঠনের একজন প্রতিষ্ঠাতা। বিজয়ী দিদার আশরাফী এর আগেও সভাপতি হিসেবে চসাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে জিতেছেন মোহনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান আলী আহমেদ শাহীন (ডাব)। তিনি পেয়েছেন ৪৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল কাদের (গরু) পেয়েছেন ২৩ ভোট। সহ-সভাপতি পদে দৈনিক জার নিউজ এর সম্পাদক মোঃ জিন্নাত আলী (মোরগ) ৪২ ভোট পেয়ে জিতেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি দৈনিক পূর্বকোণ ও জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন এর রাজস্থলী প্রতিনিধি আজগর আলী খাঁন পেয়েছেন (গোলাপ) ৩০ ভোট। সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আলোচনার জন্ম দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে কলামিস্ট ওসমান এহতেসাম (হাতি) পেয়েছেন ৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দৈনিক স্বপ্নের বাংলা'র সম্পাদক সাফি ইরফাত জেবিন ইভা (পেঁপে) পেয়েছেন ৩০ ভোট। ওসমান এহতেসামও উক্ত সংগঠনের একজন প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক দেশ বাংলা'য় কর্মরত সাইফুর রহমান নিশাদ আকন্দ (ফুটবল) ও দৈনিক স্বপ্নের বাংলা'র প্রতিনিধি ইসরাত জাহান (পেন্সিল) পেয়েছেন ২ ভোট করে। মই প্রতীকে ১ ভোট পেয়েছেন দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ফিরোজ উদ্দিন। দৈনিক অগ্রসর পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ফারজানা কবির রুমী (চায়ের কাপ) পেয়েছেন ১ ভোট। অন্যদিকে কোন ভোট না পেয়েই সাধারণ সম্পাদক পদের বিরোধিতা করেছেন দৈনিক সময়ের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী (আম), স্বপ্নের বাংলার প্রতিনিধি রাফিকা আক্তার (টেলিভিশন) ও পপুলার টেলিভিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম রেজা (ঘুড়ি)। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ ওমরফারুক (বই) ৩৭ ভোট পেয়ে জিতেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি দৈনিক অর্থনীতি পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার মনসুর আলম (পাখি) পেয়েছেন ৩৪ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বি সাপ্তাহিক অভিযোগ এর সহ-সম্পাদক পলাশ কান্তি নাথ (বাঘ) পেয়েছেন ৪ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চট্টলা টিভির স্টাফ রিপোর্টার রিদওয়ান হৃদয় (কলম) ৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (সিংহ) পেয়েছেন ১৩ ভোট। সহ-সাংগঠনিক পদে সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকার সহ-সম্পাদক পলাশ কান্তি নাথ (ফড়িং) পেয়েছেন ৫৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি পপুলার টেলিভিশনের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা (ঘড়ি) পেয়েছেন ১৭ ভোট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যোগাযোগ সম্পাদক পদে দৈনিক সরকার পত্রিকার আনিছুর রহমান (মোবাইল) ৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার বিপক্ষে না ভোট পড়েছে ১৭ টি। অর্থ সম্পাদক পদে বিজয়ী দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিনের নেজাম উদ্দীন (ফ্যান) পেয়েছেন ৩০ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াজেদ (টিয়া পাখি) ও সুমন দাশ (ব্যাট) পেয়েছেন যথাক্রমে ৩ ও ৪ ভোট। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দৈনিক সরকার পত্রিকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি গাজী গোফরান (মাইক) পেয়েছেন ৪৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি শ্রাবণ মাহমুদ (ব্যাট) পেয়েছেন ১০ ভোট। আমাদের চট্টলার স্টাফ রিপোর্টার ঈসা মোহাম্মদ তকী তাজওয়ার (চেয়ার) পেয়েছেন ৮ ভোট। মা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় প্রচার প্রচারণা না করার ব্যর্থতায় কোন ভোট পাননি দৈনিক গর্ব বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি নীলকমল সুশীল (টেবিল)। দপ্তর সম্পাদক পদে বিজয়ী দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসনাত মিনহাজ (আনারস) পেয়েছেন ৫৮ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মিন্টু দাশ (গাজর) পেয়েছেন ১২ ভোট। প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন (চশমা)। তিনি ৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার বিপক্ষে না ভোট পড়েছে ১৭ টি। সমাজসেবা সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন মোঃ ফিরোজ উদ্দিন (ঘোড়া)। তিনি ৬২ ভোট পেয়েছেন। তার বিপক্ষে না ভোট পড়েছে ১৩ টি। জেলা সমন্বয়কারী পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জাহাজ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মাসুম বাবুল। তিনি ৬০ ভোট পেয়েছেন। তার বিপক্ষে না ভোট পড়েছে ১৫ টি। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পদে বিজয়ী দৈনিক দেশকালের সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আবীর (মোমবাতি) পেয়েছেন ৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী দৈনিক দেশ বাংলা'য় কর্মরত সাইফুর রহমান নিশাদ আকন্দ (পান পাতা) পেয়েছেন ২৬ ভোট। অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে আমাদের চট্টলার স্টাফ রিপোর্টার ঈসা মোহাম্মদ তকী তাজওয়ার (তাল) পেয়েছেন ৪০ ভোট। দৈনিক সময়ের কাগজের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জামশেদুল ইসলাম (আম) পেয়েছেন ৩০ ভোট। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে বিজয়ী দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি আরফাত আহমেদ আরমান (বাস) পেয়েছেন ৫২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দৈনিক সকালের সময় এর রিপোর্টার বিদ্যুৎ দেব (কাঁঠাল) পেয়েছেন ২০ ভোট। তথ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে বিজয়ী দৈনিক অর্থনীতির ক্রাইম রিপোর্টার মনসুর আলম (স্যাটেলাইট) পেয়েছেন ৪১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি চট্টলা টিভির রিপোর্টার রাশেদা বিনতে ইসলাম (লিচু) পেয়েছেন ২০ ভোট। দৈনিক ইনকিলাব এর প্রতিনিধি বিপ্লব ইসলাম (সংবাদ) পেয়েছেন ১১ ভোট। নির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী আমাদের নতুন সময় এর সিনিয়র রিপোর্টার সজল চৌধুরী (তরমুজ) পেয়েছেন ২৭ ভোট। জিয়াউল ইসলাম জিয়া (ছাতা) পেয়েছেন ১৩ ভোট। আতিকুর গোলদার (মিষ্টি কুমড়া) পেয়েছেন ২৬ ভোট। রাজিব দাশ (তুষার) মোটরসাইকেল পেয়েছেন ২ ভোট। মোঃ এবাদুল হক (সাইকেল) পেয়েছেন ১০ ভোট ও আব্দুল কাদের (হরিণ) পেয়েছেন ১ ভোট।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ