চট্টলা মর্নিং:

বিনামূল্যে বিতরণের জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য বই প্রণয়ন করে ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ করছে বলে জানান এনসিটিবির কর্মকর্তারা ।নতুন বছরের প্রথম দিন বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে চায় সরকার।নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে এক মাসেরও কম সময় বাকি। জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম।বিদায়ী শিক্ষাবর্ষে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে।

নির্বাচনী বছর হওয়ায় অবরোধ-হরতালের মধ্যেও চট্টগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৮ শতাংশ বই বিদ্যালয় ও থানা-উপজেলায় পৌঁছে গেছে।মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বইও এসেছে ৩২ শতাংশ। প্রতিদিন ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে বিদ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের নতুন বই।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের বই এসেছে ৮৮ শতাংশ। মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯০টি। ইতিমধ্যে বই এসেছে ৩৯ লাখ ২৮ হাজার ১১০টি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর মাধ্যমিকের বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ। বই এসেছে ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৪টি। প্রতিদিন নতুন বই আসছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসার জানান, ঢাকা থেকে আসা এসব বইয়ের মধ্যে কিছু বই সরাসরি বিদ্যালয়ে চলে যায়, কিছু বই থানা-উপজেলায় পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ বই চলে এসেছে।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রাক্-প্রাথমিক থেকে শুরু করে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বিতরণের জন্য মোট ৩২ কোটি ৩৮ লাখের বেশি বই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে বই ৯ কোটি ৩৮ লাখের বেশি। আর মাধ্যমিক স্তরের বই ২৩ কোটির কিছু বেশি। নতুন শিক্ষাক্রমে বিষয় কম হওয়ায় চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মোট পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা কমেছে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা/ থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদেরকে নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবেন।