বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
দুদকের মামলার আসামি হয়েও ফের চট্টগ্রামে পদায়ন ব্যবসার নামে ফয়সালের লাখ লাখ টাকা উত্তোলন, বিপাকে পাওনাদাররা লোকসানের নাটক দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ! রয়েল ক্যাপিটালের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বেলায়েত হোসেন নয়ন চাকরিচ্যুত হোটেল জামানের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবারের মানববন্ধন তানযীমুল উম্মাহ গার্লস মাদরাসা, হালিশহর শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান–২০২৫ সম্পন্ন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তরুণ লেখক সম্মেলন ও ম্যাগাজিন মোড়ক উন্মোচন সম্পন্ন রাজাখালীতে অস্ত্রের মহড়া, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ফোরকান-ইকবাল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের উপদেষ্টা হলেন মনিরুল ইসলাম ইউসুফ নাম পাল্টে কোটি টাকার প্রতারণা: রায়ন্স থেকে গ্লোবাল প্যাসিফিক, অয়ন ও তার বাবার চক্র মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার আম্বিয়া সেরীন আবাসিক এপার্টমেন্ট ভবনে
নোটিশ
চট্টলা মর্নিং নিউজে আপনাকে স্বাগতম, আমাদের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

চট্টগ্রামে গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিলেন এরশাদ-খালেদা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সংবাদ দাতা
  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৪৩ জন পড়েছেন

এবাদুল হক:

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রামে গণহত্যার মাধ্যমে যে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল তার মূল নায়ক ছিলেন পুলিশ কমিশনার রকিবুল হুদা। আর তাকে এরশাদ সাহেবও প্রমোশন দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও প্রমোশন দেন।
বুধবার ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। এর দায়ে পুলিশ কমিশনারকে অভিযুক্ত করা হয়নি বরং পুরস্কৃত করা হয় তাকে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে একটি গর্বিত দেশ। ন্যাম সামিটে জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারিসহ বহু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। প্রত্যেকেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। আবার নতুনভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পত্রপত্রিকায় দেখেছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এ সব দেখে, নির্বাচন কেন করলাম না- বিএনপি’র মধ্যে এখন এ নিয়ে গভীর হতাশা। সারা পৃথিবী যখন অভিনন্দন জানাচ্ছে, তখন তারা দিশেহারা হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।

শেখ হাসিনা একজন সাহসী নেত্রী উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, রণাঙ্গনে যেমন সেনাপতি যুদ্ধ পরিচালনা করেন, তেমনি সবসময় জীবন ও মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তিনি কখনও বিচলিত হন নাই। ঢাকার বুকে যেদিন নুর হোসেন নিহত হন সেদিনও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন।

চট্টগ্রামেও ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেদিনও পাখি শিকারের মতো মানুষ শিকার করে গুলি ছুঁড়ে জননেত্রীকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। সেদিন নিহতের সংখ্যা ২৪ জন বলা হলেও অনেক লাশ গুম করা হয়েছে, বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। সন্ধ্যায় সমস্ত শহর অন্ধকার করে দেয়া হয়েছিল। নেত্রীর ট্রাকের আশপাশের কয়েকজন নিহত হন, এমনকি নেত্রীকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়েছিল। গুলিবর্ষণ খানিকটা থেমে গেলে আইনজীবী সমিতির নেতারা নেত্রীকে কোর্ট বিল্ডিংয়ে নিয়ে যান।

চট্টগ্রাম সবসময় আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৬৬ সালে ছয়দফা ঘোষণা করার পর, ছয়দফার সমর্থনে প্রথম জনসভা হয় লালদিঘির পাড়ে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন অবিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। ১৮৫৭ সালে যখন সিপাহী বিদ্রোহ হয় তখন চট্টগ্রাম প্যারেড গ্রাউন্ডে সুবেদার রজব আলী বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। সমগ্র বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, যেখানে সূর্য অস্তমিত হতো না, সেই ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সূর্যসেন এবং চট্টগ্রামকে এগারো দিন স্বাধীন রেখেছিলেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে চলছে। নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে এবং সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় দেশে একটা ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে-বিদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। তিনি বলেন, ভোট নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করে তারা আসলে নিজের মুখটা রক্ষা করার জন্য প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। বিএনপি এখন আগের নেতাদের বাদ দিয়ে ড. মঈন খানকে নামিয়েছে। সুন্দর সুন্দর কথা বলে তিনি যদি কিছু করতে পারেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,
আসলে বিএনপি রাজনীতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যে ভেতরে ভেতরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড অসন্তোষ। সেই অসন্তোষ কোনো একসময় বিস্ফোরণ ঘটবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচন না করার, আর গাড়ি-ঘোড়ায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করার।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
চট্টলা মর্নিং এর সকল স্বত্ব © ২০২৩-২০২৫ সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায় ইনো. আইটি বাজার