আবুল হাসনাত মিনহাজ-চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত নির্মিত চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যান চলাচল করবে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে।চট্টগ্রাম নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে 'মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ফ্লাইওভার উদ্বোধন হলেও,কাজ সম্পর্ন শেষ করতে না পারায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
গত ১৪ নভেম্বর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।উদ্বোধন হলেও নির্মাণ শেষ না হওয়ায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি।দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মাত্র ২০ মিনিটেই নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে।চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চালু হলে মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশেই কমে যাবে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
পতেঙ্গাতে বসবাস করা শাহেদুল আলম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মুরাদপুর চাকরি করেন।প্রতিদিন আগ্রাবাদ দিয়ে যাতায়াত করেন তিনি।কিন্ত এই রুটে প্রতিদিন যাতায়াতের সময় কম-বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।এমন বাস্তবতায় চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চালু হলে সময় বাঁচাবে, স্বস্তি বয়ে আনবে, জীবনে গতিশীলতা আনবে বলে আশা করছেন শাহেদুল আলম।
বন্দরে বসবাস করা এক তরুণ জানান, চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যেসব রুটে সবচেয়ে বেশি যানজট হয়,তার মধ্যে এয়ারপোর্ট।আগ্রাবাদ চৌমুনী হয়ে এয়ারপোর্ট যেতে দেড়-দুই ঘণ্টা বা তারও বেশি লেগে যায়।সেখানে ২০ বা ২৫ মিনিটে এই পথে গন্তব্যে যাওয়া যেন স্বপ্নের মতো!আমাদের মতো যারা তরুণ, তারা সময় আর ভোগান্তি এড়িয়ে চলতে চান।এক্ষেত্রে এই এক্সপ্রেসওয়ে সুফল দেবে বলেই আশা করি।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান দৈনিক প্রতিদিনের কাগজকে বলেন, "বর্তমানে মূল ফ্লাইওভারের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।বাকি কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
মদিনা মনোয়ারা প্লাজা,৩য় তলা শাহ আমানত সংলগ্ন রোড়
বাকলিয়া চট্টগ্রাম
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ