শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
প্রতারক আব্দুল বাতেনের কবল থেকে নিঃস্ব ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে রক্ষায় প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন থানচিতে এলজিইডির সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে ক্ষোভ সাইকেল চালিয়ে ২৫০০ ফুট উঁচু ডিম পাহাড় জয় দুই তরুণের সরকার পতনের পর চট্টগ্রামে মাদকের রাজত্ব! চট্টগ্রামে ‘মব জাস্টিস’ বিতর্ক: সুপারশপে লুটপাট, কর্মচারীদের মারধর, প্রশ্নের মুখে আইনি শাসন চট্টগ্রাম মেডিকেল ঘিরে ফের সক্রিয় এম্বুলেন্স সিন্ডিকেট 🛑 চাক্তাইয়ের ছায়ামানব: ইসলামি ছদ্মবেশে গড়ে উঠেছে কালো টাকার সাম্রাজ্য চট্টগ্রামে ভুতুড়ে ফ্ল্যাটে অবৈধ অপারেশন থিয়েটার সুদ-জুয়ার টাকায় রাজনৈতিক পালাবদলের নাটক মঞ্চস্থ করছেন চট্টগ্রামের মিন্টু আহমেদ কালোজিরা: প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যরক্ষায় এক নির্ভরযোগ্য বীজ
নোটিশ
চট্টলা মর্নিং নিউজে আপনাকে স্বাগতম, আমাদের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগে

চট্টলা মর্নিং:
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৬৯ জন পড়েছেন
আবুল হাসনাত মিনহাজ:
চট্টগ্রাম বিভাগে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। অনেক সময় যানবাহনের হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শীতে পাহাড়ি এলাকার মানুষ ঠিকমতো কাজে বের হতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন।

খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামাটি,বানদরবান,সহ চট্টগ্রামের জেলা উপজেলা গুলোতে দিন দিন বাড়ছে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা। সীমান্তবর্তী জেলায় বেশ কয়েকদিন ধরে বইছে শৈত্যপ্রবাহ।সন্ধ্যার পরই শুরু হয় শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশা।

আজ ৩/৪ দিন হলো দেখা যায় না সূর্যের মুখ। কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষ। রাতের বেলায় সম্ভবত ৮-৯ এর মধ্যে ওঠানামা করতে থাকে তাপমাত্রা।সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচলের সময় ১০ হাত দূরেই কিছু দেখা যায় না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা যায় না। তার মধ্যে কনকনে শীত ও বাতাস বইছে।

শীতের তীব্রতা ও শঙ্কার কথা বলছিলেন আনোয়ারা শহরের ভ্যানচালক হায়দার আলী। পাহাড়ি এলাকার মতো গতকাল আমাদের আনোয়ারায় ছিল তীব্র শীত। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল আশপাশ। আমাদের আশেপাশের উপজেলাসহ গুলোতেইও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার কথা বলছে।

পাহাড়ি এলাকার আদিবাসীরা জানান শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরেরদিন সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষরা। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে।

রাউজান ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাত থেকে এতো পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে, রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
দুইদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। আমাদের চরে তো সবসময় বাতাস থাকে তাই খুব ঠান্ডা। বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। গতকালও সারাদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল আমাদের এলাকা। আজ কুয়াশা আরও বেশি।

রাঙ্গামাটি জেলার অটোরিকশাচালক শাহিন মিয়া বলেন,ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়েও কিছু দেখা যায় না। এ ছাড়া সড়কে যাত্রী নাই, ফলে আয় কমে গেছে তাঁদের।

এলাকার কৃষিশ্রমিক ইয়াকুব আলী ও আবুল হোসেন বলেন, ‘কুয়াশা আর শীতের কারণে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। কাজে যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করতে সমস্যা হয়, হাত-পা জমে যাওয়ার অবস্থা, আয়ও ভালো হয় না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে শীত আরও বেড়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে দেশের উত্তর দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

একই সঙ্গে এখন সারাদেশেই কুয়াশা পড়ছে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশায় দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। এই কুয়াশা পরিস্থিতিও আগামী কয়েক দিন দেশ জুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
চট্টলা মর্নিং এর সকল স্বত্ব © ২০২৩-২০২৪ সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায় ইনো. আইটি বাজার