শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে চট্টলা পরিবহন চালকদের সড়ক অবরোধ চট্টলা পরিবহনের মানিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা  জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুরেশ্বর সংগীত একাডেমীর ১ম বর্ষপূর্তি উদযাপন ‘এবার টার্গেটে সাংবাদিকদের সন্তানেরা’ চট্টগ্রামের মানববন্ধনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম লন্ডনে কানেক্ট বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন।   দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের শুভেচ্ছা বাকলিয়ায় যুবদল নেতা জাফরের উপর হামলা, তীব্র নিন্দায় প্রতিবাদ মিছিল লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে’র উদ্যোগে  মহান বিজয় দিবস উদযাপিত সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের কোন দল-মত-ধর্ম নেই: মেয়র ডা. শাহাদাত
নোটিশ
চট্টলা মর্নিং নিউজে আপনাকে স্বাগতম, আমাদের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগে

চট্টলা মর্নিং:
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২১৭ জন পড়েছেন
আবুল হাসনাত মিনহাজ:
চট্টগ্রাম বিভাগে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। অনেক সময় যানবাহনের হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শীতে পাহাড়ি এলাকার মানুষ ঠিকমতো কাজে বের হতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন।

খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামাটি,বানদরবান,সহ চট্টগ্রামের জেলা উপজেলা গুলোতে দিন দিন বাড়ছে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা। সীমান্তবর্তী জেলায় বেশ কয়েকদিন ধরে বইছে শৈত্যপ্রবাহ।সন্ধ্যার পরই শুরু হয় শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশা।

আজ ৩/৪ দিন হলো দেখা যায় না সূর্যের মুখ। কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষ। রাতের বেলায় সম্ভবত ৮-৯ এর মধ্যে ওঠানামা করতে থাকে তাপমাত্রা।সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচলের সময় ১০ হাত দূরেই কিছু দেখা যায় না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা যায় না। তার মধ্যে কনকনে শীত ও বাতাস বইছে।

শীতের তীব্রতা ও শঙ্কার কথা বলছিলেন আনোয়ারা শহরের ভ্যানচালক হায়দার আলী। পাহাড়ি এলাকার মতো গতকাল আমাদের আনোয়ারায় ছিল তীব্র শীত। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল আশপাশ। আমাদের আশেপাশের উপজেলাসহ গুলোতেইও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার কথা বলছে।

পাহাড়ি এলাকার আদিবাসীরা জানান শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরেরদিন সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষরা। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে।

রাউজান ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাত থেকে এতো পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে, রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
দুইদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। আমাদের চরে তো সবসময় বাতাস থাকে তাই খুব ঠান্ডা। বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। গতকালও সারাদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল আমাদের এলাকা। আজ কুয়াশা আরও বেশি।

রাঙ্গামাটি জেলার অটোরিকশাচালক শাহিন মিয়া বলেন,ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়েও কিছু দেখা যায় না। এ ছাড়া সড়কে যাত্রী নাই, ফলে আয় কমে গেছে তাঁদের।

এলাকার কৃষিশ্রমিক ইয়াকুব আলী ও আবুল হোসেন বলেন, ‘কুয়াশা আর শীতের কারণে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। কাজে যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করতে সমস্যা হয়, হাত-পা জমে যাওয়ার অবস্থা, আয়ও ভালো হয় না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে শীত আরও বেড়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে দেশের উত্তর দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

একই সঙ্গে এখন সারাদেশেই কুয়াশা পড়ছে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশায় দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। এই কুয়াশা পরিস্থিতিও আগামী কয়েক দিন দেশ জুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
চট্টলা মর্নিং এর সকল স্বত্ব © ২০২৩-২০২৪ সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায় ইনো. আইটি বাজার