৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপর পূর্ব বাকলিয়া তুলাতলি হাফেজ নগর এলাকায় ফয়সাল আহম্মেদ রুবেল নামের এক ব্যবসায়ীর গ্যারেজ থেকে অটোরিক্সা ছিনতাই, মোবাইল সার্ভিসিং দোকান ভাঙচুর ও লাখ লাখ টাকার মালামাল লুটপাটের বিষয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ রুবেল
উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন), উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি), জেলা প্রশাসক,সহকারী পুলিশ কমিশনার (চকবাজার জোন) সহ বেশ কিছু সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বাদী ফয়সাল আহমেদ রুবেল ৯ জনের কথা তুলে ধরেন,বিবাদীরা হলেন আব্দুল রহমান,জব্বার, মনা,আজিজ,সোহেল,সুমন,সবুর,আবু তাহের,আরিফ।
এবিষয়ে বাদী ফয়সাল আহমেদ রুবেলের অভিযোগ সূত্রে যানা যায়,কোন রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা রাজনৈতিক পদ পদবি নেই। আমি স্থানীয়ভাবে পরোপকারী এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি। এছাড়াও আমি বাকলিয়া থানাধীন স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে ছিলাম। আমি উপরোক্ত দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে ভালো কাজের স্বীকৃতি সরুপ একাধিকবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হইতে পুরস্কার প্রাপ্ত হই। আমি স্থানীয়ভাবে পুলিশিং কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে লিপ্ত রাখার কারনে বিভিন্ন সময়ে অপরাধী চক্রের সাথে আমার মনোমালিন্য সহ মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। পার্শ্বে লিখিত বিবাদীগণ আমার সাথে মনোমালিন্য কিংবা বিরোধ থাকা সত্ত্বেও আমার দায়িত্ব ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কারনে এতদিন আমার উপর হিংসা প্রকাশ করার সাহস করেনি। ১। আব্দুর রহমান, পিতাঃ মৃত জানে
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, বিগত সরকারের পতনের পর ০৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখে আমি নিজ বাসায় থাকা অবস্থায় বিকাল আনুমানিক ৪ টা থেকে ৫ ঘটিকার মধ্যে পার্শ্বে লিখিত বিবাদীগণ স্থানীয় দলীয় পরিচয় বহনকারী সদলবলে প্রায় ২০/৩০ জন নিয়ে এসে আমার মালিকানাধীন "ওয়েলকাম কম্পিউটার এন্ড মোবাইল সার্ভিসিং" নামীয়
আরো অজ্ঞাত প্রায় ১০/১৫ জন। দোকানে হামলা, ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়, এসময় আমার দোকানে থাকা আনুমানিক ৮০ থেকে ৮৫ পিছ নতুন / পুরাতন মোবাইল প্রকাশ্য লুট করে নিয়ে যায়, এছাড়াও আমার দোকানে থাকা ১ টি কম্পিউটার ডেক্সটপ, ১টি ল্যাপটপ, দোকানের শোকেইছে থাকা মোবাইল এক্সেসরিজের সমস্ত মালামাল এবং দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ প্রায় ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা ছাড়াও দোকানে রক্ষিত আমার সমস্ত মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রকাশ্য লুট করে নিয়ে যায়
উক্ত সময়ে আশে পাশের পরিচিত দোকানদার এবং স্থানীয় সাধারন জনগন বাধা দিতে গেলে পার্শ্বে লিখিত বিবাদীগণ সহ সন্ত্রাসী বাহিনী সকলকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে লুটকৃত মালামাল নিয়ে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করে।একই এলাকায় স্থানীয় ছবুরের গ্যারেজে থাকা আমার মালিকানাধীন ৮ টি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা আছে জানতে পেরে সেখান থেকে আমার সকল গাড়িগুলো প্রকাশ্য ছিনতাই করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে আমি স্থানীয় লোকজন থেকে খবর নিয়ে পার্শ্বে লিখিত বিবাদীগনের কাছে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া আমার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা গুলো ফোনের মাধ্যমে ফেরত চাইলে ১নং বিবাদী
আমাকে বিভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ করে এবং আমার কাছ থেকে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা।বিকাশে পাঠানোর জন্য দাবী করে থাকে, আমি উক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে আমাকে
।হুমকি, দমকি সহ প্রান নাশের ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
এখানে উল্লেখ্য যে, পার্শ্বে লিখিত বিবাদীগণ শুধু আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হননি, উপরন্তু আমার সাথে আমার পুরো পরিবারকে বাসায় গিয়ে একাধিকবার হামলা চেষ্টা সহ মানসিক নির্যাতনের চেষ্টায় সদা নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও পার্শ্বে লিখিত বিবাদীগণ আমার সম্মান হানি করার উদ্দেশ্যে আমার ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের ব্যানার ছাপিয়ে এলাকায় প্রকাশ্য প্রচার করার চেষ্টা করেছে এবং আমি এই সকল হীনকাজের প্রতিবাদ করে এই সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বললে পার্শ্বে লিখিত বিবাদীগণ আবারো আমার কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে থাকে।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন, উপরোক্ত ঘটনার আলোকে একটি সুস্ট ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সকল দোষী ব্যক্তিদের আইনি আওতায় এনে শাস্তি প্রদান এবং উক্ত বিবাদীগণ কর্তৃক লুটিয়ে নেয়া আমার নগদ টাকা, গাড়ি, মোবাইল সহ আমার সকল মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফেরত পাওয়ার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করিবেন।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ