আয়ুব মিয়াজী
চট্টগ্রামের দোহাজারী পৌরসভার প্রাচীন জনপদের রাস্তা ডাক বাংলা বার্মা কলোনী সড়ক। এই বার্মা কলোনীকে একটি গ্রুপের আয়ের উৎস হিসেবে সুশীল সমাজের মানুষের যাতায়তে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছিল। দোহাজারী স্টেশন রোডে ব্যবসায়ীদের ও জরুরী যোগাযোগে দীর্ঘক্ষণ যানজট থেকে মুক্তি লাভ এবং কলোনীতে বসবাস করা মানুষের কথা চিন্তা করে সড়ক উন্নয়ন জরুরী হয়। এখানে বসবাস করা মানুষদের ছাড়া দেশে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই সড়ককে ব্যস্ততম করার নানান পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিলে কাজের মধ্যে মালিকানা অজুহাতের থাবা পড়েছে। প্রায় কোটি টাকা কাজ শুরু করে বন্ধ করে দিতে হয়েছে পৌরসভার নিয়োগ প্রাপ্ত ঠিকাদারকে। একটি স্বাধীন দেশের ভূমির মালিক সরকারের নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারি কমিশনার (ভূমি)। কিন্তু তাকে এই অবস্থায় শুধুমাত্র জনগণের চাকর হিসেবে দেখছেন ভোগদখলকারগণ। সরকারি রাস্তা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে রাখা যেন দখলকার বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে। উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদান করতে ক্ষতিপূরণ দাবী তাদের নয়া অজুহাত। নিয়ম অনুযায়ী গ্রামীণ জনপদের রাস্তা থেকে ৫ ফুট দূরত্বের মধ্যে স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পৌর কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা থাকলেও তারা যেন এখন অপরাধী। এই ব্যাপারে দোহাজারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাঈম উদ্দীন জানান, জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে, বিগত পৌর পরিষদ রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন। সে মোতাবেক প্রকৌশল বিভাগ টেন্ডার আহ্বান করেন। কিন্তু টেন্ডার আহ্বান করার সময় সমস্যা বা জটিলতায় পড়তে হয়নি বা কোন অভিযোগ আসেনি। যখনই উন্নয়ন কাজের ৪০ শতাংশ কমপ্লিট হয় তখনই ২০০ মিটার জায়গায় একটা গ্রুপ রাস্তার মধ্যে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে। এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে অভিযোগকারীদের সাথে দফায় দফায় বসা সত্বেও বিষয়টি এখনো পর্যন্ত সমাধান হয়নি। অভিযোগকারীগণ আইনীভাবে রাস্তা সংস্কারে বাঁধা প্রদানের দিকে চলে গেছেন বলেও জানান তিনি।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবী, আসলে ডাক বাংলার বার্মা কলোনী দিয়ে জনগণ চলাচল করলে কাদের ক্ষতি এটি এখন বড় প্রশ্ন তাদের কাছে?
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ