রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের কাছে এসব দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন নারীনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, ছাত্র ও যুব সংগঠক এবং ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান।
স্মারকলিপিতে নেতারা অভিযোগ করেন, এমডি ফজলুল্লাহকে চেয়ারে বসিয়ে রেখে তার দুর্নীতি তদন্ত সঠিকভাবে সম্পাদন সম্ভব নয়। তার অধীনে থেকে কেউ তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য দিতে সাহস করবে না। অনিয়মের সুষ্ঠ তদন্তের জন্য আগে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। পদ ছাড়লে তখনই সঠিক তদন্ত সম্ভব এবং সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত আছে আওয়ামী সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি বিগত সরকার আমলে ৮ দফায় ১৬ বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নিয়োজিত। ১৬ বছর স্বৈরশাসকের পক্ষ অবলম্বন করে তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে ওয়াসাকে। এ সময়ের মধ্যে ১৪ বারের বেশি পানির দাম বাড়িয়ে চট্টগ্রামবাসীর ওপর বোঝা চাপিয়েছেন। এখনো শহরের এক-তৃতীয়ংশ মানুষ পানি থেকে বঞ্চিত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ওয়াসার বাস্তবায়ন করা ও চলমান প্রতিটি প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এমনকি নিজের মেয়ের প্রতিষ্ঠানকে সুয়্যারেজ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন। অনিয়মে জড়িত তার আত্মীয় ও ওয়াসা কর্মকর্তারা এরই মধ্যেই দেশত্যাগ করতে শুরু করেছেন। এমডি ফজলুল্লাহ যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাবের চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, ছাত্রনেতা রাসেল উদ্দীন, মানবাধিকার নেতা ওসমান জাহাঙ্গীর, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার একান্ত সচিব মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন প্রমুখ।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়,
২নং গেইট টেকনিক্যাল মোড়।
ইমেইল- news@chattalamorning.com
এটি চট্টলা মর্নিং এর ইপেপার সংস্করণ